অর্জুন শ্রীকৃষ্ণের কাছে এই একাদশী মাহাত্ম্য শ্রবণ করতে চাইলে শ্রীভগবান বললেন, সত্যযুগে 'মুর' নামে এক দানব ছিল। সে এতই দুরাচারী ছিল যে যুদ্ধে স্বর্গরাজ্য ইন্দ্রকে পরাজিত করে স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করেছিল। দেবতারা মহাদেবের কাছে তাদের দুঃখের কথা বললে মহাদেব তাঁদের নিয়ে ক্ষীর সমুদ্রের তীরে বিষ্ণুর কাছে গেলেন। বিষ্ণু দেবতাদের কাছ থেকে জানলেন যে, প্রাচীনকালে ব্রহ্ম বংশে তালজঙ্গা নামে পরাক্রমশালী অসুর ছিল। তারই পুত্র মুর।
সে স্বর্গ থেকে দেবতাদের বিতাড়িত করে তার স্বজাতি কাউকে রাজা, কাউকে অন্যান্য দিকপালরূপে প্রতিষ্ঠা করে এখন দেবলোক সম্পূর্ণ অধিকার করেছে। একথা শুনে ভগবান ক্রোধান্বিত হয়ে দেবতাদের সাথে চন্দ্রাবতী পুরীতে গেলেন। দেবতার ও অসুরদের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হলো। কেবলমাত্র যুদ্ধক্ষেত্রে নারায়ণকে একা দেখে সে দানব গর্জন করতে থাকলো। মুর দানব একমাত্র জীবিত ছিল। দেবতাদের হিসাবে ১০০০ বছর যুদ্ধ করার পরও সে পরাজিত হল না।
তখন বদ্রিকাশ্রমে ভগবান বিষ্ণু সিংহবতী নামক এক গুহায় শয়ন করলেন। সেখানে এক দানব বিষ্ণুকে নিদ্রিত দেখে মনে করলো বিষ্ণু ভয়ে শয়ন করে আছে। দানবের এই চিন্তার কারণে বিষ্ণুর দেহ থেকে এক কন্যা উৎপন্ন হলো। তার নাম উৎপন্না একাদশী। সে মুর দানবকে বধ করল। বিষ্ণু নিদ্রা থেকে উঠার পর দেখল এই কন্যা মুর দানবকে বধ করেছে।
বিষ্ণু এই একাদশীকে বর দিলেন - এই ব্রত পালনকারীর সমস্ত ইচ্ছা পূর্ণ হবে। এই একাদশী ব্রত পালন করলে বিষ্ণুরই পূজা হবে। এই ব্রত পালনকারীর শত্রু বিনাশ, পরমগতি ও সর্বসিদ্ধি লাভ হবে। একাদশীর উৎপত্তি কোথা থেকে হলো তা শ্রবণ কীর্তন করলে শ্রীহরির আশীর্বাদ লাভ করা যায়।
Comments